সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে অনেকেই এখন ভিপিএন সেবা গ্রহণ করছেন। এতে সাময়িক সুবিধা মিললেও ভিপিএনের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখেও পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। এমনকি আছে আর্থিক ঝুঁকিও।
ভিপিএন আসলে কী? কীভাবে এটি ব্যবহারকারীর ক্ষতির কারণ হতে পারে?
ভিপিএন মানে ভাচুর্য়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এমন এক ধরনের কাঠামো যা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক দিয়ে ভার্চুয়াল টানেলের সাহায্যে অন্য এক বা একাধিক নেটওয়াকিংয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ মেলে। প্রযুক্তি বিশারদদের মতে, এটি অনলাইন কার্যক্রমের সুরক্ষা নিশ্চিতে অদৃশ্য একটি চাদর হিসেবে কাজ করে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করা অবস্থায় ব্যাংক কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
নব্বইয়ের দশকে ভিপিএনের আবির্ভাব ঘটে। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে ভিপিএন ব্যবহার করা হলেও স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট ও কনটেন্টে অ্যাকসেস পেতেও ভিপিএন ব্যবহার করা হয়। শুরুতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়েই বেশি ব্যবহার করা হয়।
ভিপিএনএর প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ফলে, কোনো কারণে ব্যবহারকারীর পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি, ধরা যাক ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে। সহজ ভাষায়, হ্যাকারের হাতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেলে হ্যাকিং অনেক সহজ হয়ে যায়।
ভিপিএন টুল ডাউনলোড করার সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণসহ ফেসবুক, ইমেইলসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ওই ভিপিএন নির্মাতার কাছে। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা। এ ঝুঁকির পাশাপাশি অনেক সময় ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। কারণ বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মাধ্যমে ডেটা পাঠায় ভিপিএন।
এছাড়া ভিপিএন সেটআপ করাও একজন অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর জন্য হতে পারে বেশ জটিল। বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
তবে ভিপিএন ব্যবহার করার বেশকিছু সুবিধাও আছে। যেমন ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় নজরদারি থেকে রক্ষা পেতে পারে এর ব্যবহারকারী। দূর থেকে ইন্টারন্টে ব্যবহারের সুযোগ এবং সাইবার আক্রমণের হুমকি থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে ভিপিএন।
ইন্টারনেটভিপিএন